রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,কলকাতা:
প্রতিবছর দেব দেবীরা আসে আবার সকলকে মন ভারাক্রান্ত করে চলে যায়, তবুও পূজা উদ্যোক্তারা সেই দেব দেবীকে প্রতি বছর আনে পূজিত করে এবং দুইদিন আনন্দ করে একসাথে। তার পরে বেজে উঠে বিদায়ের বাজনা, অশ্রু সজল চোখে বিদায় দেওয়ার পালা, কিন্তু ইদানিং বাঙালীরা সমস্ত কিছু মানলেও ,দেখা যায় শনি ও মঙ্গলবারেও দেব-দেবীদের বিদায় দিচ্ছেন।, আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বেশ কিছু বিশ্বকর্মা কে বিদায় জানালেন পূজা উদ্যোক্তারা বাবুঘাটের বিভিন্ন প্রান্তে ঘাটে ঘাটে সেই বিদায়ের বাজনা বেজে উঠেছিল।আর সকাল থেকেই বিদায়ের বাজনা আরো বেশি করে বেজে উঠল, কারণ সমস্ত ঠাকুরকেই আজকে বিদায় দিতে হবে, তাই বিভিন্ন কলকারখানা থেকে শুরু করে ,যারা সারা বছর কুটির পরিশ্রম করেন আগুনে জলে,। তারা দুদিন দেব দেবীর সাথে আনন্দ করে আজকে সেই দেব দেবীকে নিয়ে বাবুঘাটের দিকে রওনা দেন। এবং অশ্রু সজল চোখে গঙ্গায় বিসর্জন দিয়ে বাড়ি ফিরছেন একে একে আর একটাই কথা আসছে বছর আবার হবে।, ঢাকের বাজনা অন্যান্য বাড়ির বাজনা বাবুঘাট চত্বর উল্লাসে আনন্দে ভরপুর,দুদিন ধরে প্রশাসনের লোকেরা এবং কে এম সি লোকেরা ঘাটে ঘাটে সজাগ দৃষ্টিতে নজর দিচ্ছেন, শুধু তাই নয় কাউকে বেশি দূরে জলে নামতে দিচ্ছেন না ,এমনকি প্রতিমার সাথে দুই থেকে চারজনের বেশি ছাড়ছেন না গঙ্গার ঘাটে, অনেকে ঢুকতে চাইলেও তারা বোঝানোর চেষ্টা করছেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন ,সমস্ত পূজা উদ্যোক্তাদের, এবং জাতে গঙ্গার জল নষ্ট না হয় ,পূজা উদ্যোক্তারা গঙ্গাতে অন্য কিছু না ফেলে, তার জন্য গঙ্গার ধারে পূজোর সমস্ত জিনিস রেখে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। এমনকি প্রতিমা বিসর্জন করার সাথে সাথে কেএম সি লোকেরা সেই সকল প্রতিমা গঙ্গার ধারে জমা করছেন। এবং প্রেমে করে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন নির্দিষ্ট জায়গায়। বৃষ্টির মধ্যেও ঠিকমতো বিসর্জনের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।